বৃহত্তর নোয়াখালী কর্মকর্তা ফোরাম
[০১] নামকরণ
এই সংগঠন “বৃহত্তর নোয়াখালী কর্মকর্তা ফোরাম” নামে অভিহিত হবে। এর সংক্ষিপ্ত নাম হবে “ফোরাম? ।
[০২] কার্যালয়
এর প্রধান কার্যালয় ঢাকা মহনগরীতে অবস্থিত হবে। নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলা সদরে আঞ্চলিক কার্যালয়
থাকবে এবং বিভাগীয় সদরে আঞ্চলিক অফিস থাকতে পারে। এছাড়া সাধারণ সভার অনুমোদনক্রমে অন্যান্য প্রশাসনিক
জেলা সদরেও ফোরামের কার্যালয় থাকতে পারে।
[০৩] নিবন্ধন
এই ফোরাম বাংলাদেশ সরকারের কোন সমিতি নিবন্ধীকরণ আইন এর অধীনে নিবন্ধিকৃত হবে।
[০৪] পরিধি ও সংজ্ঞা
[ক] পরিধি
ফোরাম হবে একটি অলাভজনক এবং অরাজনৈতিক সংগঠন। ফোরামের কার্যক্রম গঠনতন্ত্রের সাথে
সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং ফোরামকে কোন প্রকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না।
[খ] সংজ্ঞা
এলাকা বলতে বৃহত্তর নোয়াখালী অর্থাৎ নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলাকে বুঝাবে।
ফোরাম বলতে বৃহত্তর নোয়াখালী কর্মকর্তা ফোরাম বুঝাবে।
পরিষদ বলতে ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদ বুঝাবে।
পেশা বলতে সরকারি, আধা- সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দের চাকুরীকে বুঝাবে।
[০৫] উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী
[কা] মৃখ্য উদ্দেশ্যাবলী
[১] বিভিন্ন পেশায় কর্মরত এলাকার কর্মকর্তাবৃন্দের মধ্যে পারস্পরিক পরিচিতির মাধ্যমে বন্ধুত্ব ও
সৌহার্দ- সম্প্রীতির ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি;
[২] ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে সদস্যবৃন্দের পেশাগত অবস্থান সুদৃঢ়করণ এবং পেশাগত উন্নয়নে
পারস্পরিক সহযোগিতার সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং
[৩] এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট ও সম্ভাব্য যাবতীয় সহযোগিতা প্রদানের
লক্ষে উদ্যোগ গ্রহণ ও পারস্পরিক প্রচেষ্টায় বাস্তবায়ন।
[খ] বিশেষ উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী
[১] প্রকাশনা ও গণমাধ্যমের ব্যবহার এবং সেমিনারসহ সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠানাদি
আয়োজনের মাধ্যমে সদস্যবৃন্দ ও এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক পরিচিতি ও যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা;
[২] এলাকাভিত্তিক বিশেষ উন্নয়ন সমস্যা চিহিতকরণ, সমাধানের প্রস্তাবনা প্রণয়ন এবং এঁক্যবদ্ধ
প্রয়াসে তা বাস্তবায়ন;
[৩] এলাকার বেকার জনগণের কর্মসংস্থানে সহায়তা প্রদান;
[8] মৃত্যু, দুর্ঘটনাজনিত অক্ষমতা কিংবা কোনভাবে বিপন্ন অবস্থার সমুখীন সদস্যের পরিবারের
জন্য জররী ভিত্তিক প্রয়োজনীয় আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান;
[৫] সমাজকল্যাণমূলক কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন ও পরিচালনা;
[৬] স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সকল উপায়ে এলাকাবাসীর অধিকার
সংরক্ষণে সহায়তা;
[৭] এলাকার দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তিসহ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান;
পাতা ১/৮
[৮] এলাকার কৃতী ও গুণী ব্যক্তিবর্পকে স্থানীয়, জাতীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কৃতিত্বের
জন্য সম্বর্ধনা জ্ঞাপন;
[৯] ফোরামের নামে কেন্দ্রীয়ভাবে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন, সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সাধন;
[১০] সদস্যবন্দের কল্যাণে এবং এলাকার উন্নয়নে বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প ও কার্যক্রম গ্রহণ,
বাস্তবায়ন এবং
[১১] মুখ্য উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষে কার্যক্রম গ্রহণ।
[০৬] সদস্যপদ
[ক] সদস্যভূক্তি
দেশ-বিদেশে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্ায়ত্ব ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অসামরিক প্রথম শ্রেণীর কিংবা সমপর্যায়ের যে কোন কর্মকর্তা নিয়োক্ত শর্তাবলী
পুরণপূর্বক নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে ফোরামের সদস্যপদ লাভ করবেনঃ
[১] তার জন্ম বা নিবাস বৃহত্তর নোয়াখালীতে হতে হবে;
[২] তিনি ফোরামের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী অবগত হয়েছেন এবং সকল সাংগঠনিক
বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন করবেন মর্মে সম্মত থাকবেন;
[৩] তিনি কোন রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হবে না এবং
[৪] তিনি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী কিংবা মন্ত্রী সভার সদস্য পদে অধিষ্ঠিত হবেন না;
[৫] তিনি কোন সাংবিধানিক পদাসীন হবেন না, ইতঃপূর্বে অন্তর্ভুক্ত কোন সদস্য যদি
সাংবিধানিক কোন পদে অধিষ্ঠিত হন তা হলে তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন পদে
প্রার্থী হতে পারবেন না, তবে তাঁর ভোটাধিকার অক্ষুন্ন থাকবে।
[৬] চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণের পরও ফোরামের সদস্য কর্মকর্তার সদস্যপদ বহাল
থাকবে।
[খ] সদস্য শ্রেণী
[১ ]প্রতিষ্ঠাতা সদস্যঃ যে সকল কর্মকর্তা শুরু থেকে প্রথম কার্যনির্বাহী পরিষদ দায়িতৃপ্রাপ্ত
হবার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত ফোরাম সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন; [তফসিল- ১]
[২] সাধারণ সদস্যঃ যে সকল সদস্য এই গঠনতন্ত্র ৬াঁকা অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সদস্যপদ
লাভ করেছেন;
[৩] আজীবন সদস্যঃ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে ক্রমাগত ১০ বৎসর ফোরামের সদস্য, অথবা
পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ ফোরামের তহবিলে এককালীন পরিশোধকারী
আগ্রহী যে কোন সদস্য;
[৪] সহযোগী সদস্যঃ ফোরামের বিশেষ প্রকল্প বা কার্যক্রমে পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত
পরিমাণ অর্থ সংস্থানকারী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত ব্যক্তি বা সংগঠন, এক্ষেত্রে এক]
শর্ত পূরণের প্রয়োজন হবে না;
[৫] উপদেষ্টা সদস্যঃ কার্যনির্বাহী পরিষদ সভাপতি/ মহাসচিব পদে, সরকারের কোন সচিব/
অতিরিক্ত সচিব কিংবা সমমর্ধাদার পদে ইতোপূর্বে দায়িত্ব পালন করেছেন বা বর্তমানে
করেছেন এমন ব্যক্তি বা সাধারণ সদস্য যারা ফোরামের নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক মনোনীত
হবেন।
[গ] সদস্যের অধিকার
[১] সহযোগী সদস্য এবং উপদেষ্টা সদস্য ব্যতীত সকল সদস্য ভোট প্রদান করতে ও
কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে যে কোন পদে প্রার্থী হতে পারবেন।
[২ ]কার্ধনি্বাহী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে ফোরামের হিসাব ও দলিল পত্রাদি দেখতে
পারবেন।
পাতা ২/৮
[ঘ] সদস্যপদ বাতিল
নিয়োক্ত কারণে কোন সদস্যের সদস্যপদ বাতিল হবেঃ
[১] নির্বাহী পরিষদের মতে কোন সদস্যের কার্যকলাপ ফোরামের স্বার্থ, আদর্শ ও উদ্দেশ্য
কিংবা গঠনতন্ত্রের বিধিবিধানের পরিপন্থী হলে;
[২] পদত্যাগ বা মৃত্যুবরণ করলে;
[৩] সদস্য চাঁদা হিসাবে সমিতির প্রাপ্য অর্থ প্রদেয় হওয়ার শেষ তারিখ হতে অথবা সমিতি
কর্তৃক চাঁদা পরিশোধের জারীকৃত বিজ্ঞপ্তি প্রাপ্তির ৬ মাসের মধ্যে সমূদয় প্রাপ্য/বকেয়া
চাঁদা পরিশোধিত না হলে সদস্যপদ সাময়িকভাবে বাতিল বিবেচিত হবে। তবে বকেয়া
চাঁদা পরিশোধ করলে সাময়িকভাবে বাতিলকৃত সদস্যপদ পুর্নবহাল হবে। মোট তিন
বছরের সদস্য চাঁদা বকেয়া হলে সদস্যপদ স্বয়ংক্রিভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
[০৭] সাধারণ পরিষদ
[কা] সকল সদস্যের সমন্বয়ে এই পরিষদ গঠিত হবে।
[খ] ফোরামের মোট সদস্য সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতিক্রমে সাধারণ পরিষদ কার্যনির্বাহী পরিষদ
বাতিল করতে পারবে।
[০৮] কার্যনির্বাহী পরিষদ
[ক] সদস্যবৃন্দের মধ্য হতে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ
ফোরামের দৈনন্দিন কার্যাবলী পরিচালনা করবে।
[খ] [১] ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ নিয়রূপে গঠিত হবেঃ
১. সভাপতি- ১জন
২. সহ- সভাপতি- ৩ জন [নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক ক্রম বিন্যস্ত]
৩… মহাসচিব- ১জন
৪. যুগ্ম মহাসচিব- ৩ জন [নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক ক্রম বিন্যস্ত]
৫. কোষাধ্যক্ষ- ১জন
৬. সাংগঠনিক সচিব- ১জন
৭. যুগ্- সাংগঠনিক সচিব- ৩ জন [নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক ক্রম বিন্যস্ত]
৮. সমাজকল্যাণ সচিব- ১জন
৯. প্রকাশনা সচিব- ১জন
১০. সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সচিব- ১জন
১১. প্রচার সচিব- ১ জন
১২. দপ্তর সচিব- ১ জন
১৩. সদস্য- ১৫ জন
আঞ্চলিক পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ পদাধিকার বলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য থাকবেন।
[২] ফোরামের সদস্যবৃন্দের মধ্যে তাঁর সম্মতিক্রমে সরকারের কর্মরত (অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিসহ)
জ্যেষ্ঠ কোন সচিব কিংবা সচিব না থাকলে কোন অতিরিক্ত সচিব ফোরামের সভাপতি নির্বাচিত হবেন।
৩০(ত্রিশ) দিন পর্যন্ত উক্ত পদে বহাল থাকবেন।
[৩] যে কোন কারণে সভাপতির পদ শূণ্য হলে ফোরামের জ্যেষ্ঠতম সহ- সভাপতি অন্তব্তীকালীণ
সভাপতির দায়িত্ব নির্বাহ করবেন। তবে সভাপতির পদ শূণ্য হবার ৬০ দিনের মধ্যে উক্ত পদটি পূরণ
করতে হবে।
এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে পরিষদের সভার কোরাম হবে। আঞ্চলিক পরিষদের সভাপতি ও
সাধারণ সম্পাদকগণ এ হিসাবের [১১ জন] অন্তর্ভুক্ত হবেন না।
পাতা ৩/৮
[ঘ] প্রতি তিন মাসে কার্ধনির্বাহী পরিষদের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
[০৯] ]কার্যনির্বাহী পরিষদের ক্ষমতা ও কর্তব্য
[ক] পরিষদ তার কার্যাবলীর জন্য সাধারণ পরিষদের নিকট দায়ী থাকবে। সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত
নীতি- কৌশল এবং সংবিধানের আলোকে পরিষদ ফোরামের দৈনন্দিন কার্ধাবলী পরিচালনা করবে।
[খ] গঠনতন্ত্রে আওতার মধ্যে ফোরামের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য বিধি প্রণয়ন করতে পারবে, তবে এরূপ
প্রণীত বিধি- বিধানসমূহ পরবর্তী সাধারণ সভায় অনুমোদনের জন্য পেশ করতে হবে।
[গ] সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের জন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
[ঘ] অসদাচরণ অথবা গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজের জন্য যে কোন সদস্যের সদস্যপদ বাতিল বা সাময়িকভাবে
স্থগিত করতে পারবে।
[ঙ] প্রয়োজনবোধে সুস্পষ্ট কার্যক্রম নির্ধারণপূর্বক নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য উপ- কমিটি গঠন করতে পারবে।
[চ] প্রয়োজনবোধে উপদেষ্টা সদস্যবৃন্দের উপদেশ ও পরামর্শ গ্রহণ করবে।
[ছ] ফোরামের উদ্দেশ্যাবলী অর্জনের লক্ষে বিভিন্ন কার্যাবলী সম্পাদন করবে।
[জা] পূর্ব অনুমতি ব্যতীত কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন সদস্য পর পর চারটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে
কার্যনির্বাহী পরিষদে তার সদস্যপদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। এভাবে সৃষ্ট শু্যপদে কার্যনির্বাহী
পরিষদ অন্য সাধারণ সদস্যকে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য কো- অপ্ট করতে পারবে।
[১০] আঞ্চলিক পরিষদ
[কা] প্রশাসনিক জেলা/ বিভাগসমূহের সদরে সংশ্লিষ্ট জেলা/ বিভাগে কর্মরত ফোরামের সদস্যবৃন্দের মধ্য হতে
ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে একটি আঞ্চলিক পরিষদ থাকবে । আঞ্চলিক পরিষদের
কার্যালয় জেলা/ বিভাগীয় সদরে অবস্থিত থাকবে।
[খ] আঞ্চলিক পরিষদ নিয়োক্তভাবে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট হবেঃ
সভাপতি -১
সহ- সভাপতি -২
সাধারণ সম্পাদক -১
যুগ্- সাধারণ সম্পাদক -২
কোষাধ্যক্ষ -১
সদস্য -৮
আঞ্চলিক পরিষদ সমঝোতা/ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হবে। গঠনের এক মাসের মধ্যে কার্যনির্বাহী
পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদ এই আঞ্চলিক পরিষদ অনুমোদন/
বাতিল! পুর্নগঠনের ক্ষমতা রাখবে। আঞ্চলিক পরিষদের মেয়াদ উক্ত পরিষদের প্রথম সভার তারিখ হতে
তিন বছরকাল হবে।
[গ] আঞ্চলিক পরিষদ ফোরামের শাখা সংগঠনের যাবতীয় সাংগঠনিক দায়িত্ব নির্বাহ করবে। তাদের সকল
কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট জেলা/ বিভাগে সীমাবদ্ধ থাকবে।
[ঘ] আঞ্চলিক পরিষদ কার্যনির্বাহী পরিষদের পক্ষে ফোরাম সদস্যবৃন্দের বার্ষিক চাঁদা সংগ্রহ করবে।
প্রতিমাসে সংগৃহীত বার্ষিক চাঁদার ৫০% আঞ্চলিক পরিষদ উহার যাবতীয় ব্যয় নির্বাহে সংরক্ষণ করবে
এবং অবশিষ্ট ৫০% ঢাকায় ফোরামের নির্বাহী পরিষদের নিকট পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে প্রেরণ
নিশ্চিত করবে।
[ঙ] আঞ্চলিক পরিষদ কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে আঞ্চলিক পরিষদ/ ফোরামের জন্য তহবিল
সংগ্রহ করবে। তবে এধরণের সংগৃহীত তহবিলের ৫০% ঢাকা ফোরামের নির্বাহী পরিষদের নিকট প্রাপ্তির
অনুরধ্ব দশ দিনের মধ্যে প্রেরণ নিশ্চিত করবে।
[চ] আঞ্চলিক পরিষদ বার্ষিক কর্মকান্ডের প্রতিবেদনসহ বার্ষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন ফোরামের কার্যনির্বাহী
পরিষদের নিকট পেশ করবে।
পাতা ৪/৮
[ছ] আঞ্চলিক পরিষদে যে কোন বিষয়ে অভ্যন্তরীণ বিতর্কের সৃষ্টি হলে ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদের
সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে পরিগণিত হবে।
[১১] কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্মকর্তাবৃন্দের দায়িত্বাবলী
[কা [১] সভাপতি ফোরামের গঠনতান্তরিক প্রধান। সাধারণ সভা ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল সভায় তিনি
সভাপতিত্ব করবেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠতম সহ- সভাপতি সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
সহ- সভাপতিগণের অনুপস্থিতিতে সভা কর্তৃক মাননীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন সদস্য সভাপতিত্ব করবেন।
[২] সভাপতি সভা পরিচালনাকালে কোন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন না। শুধু সমতার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত
নির্ধারণী ভোট প্রদান করতে পারবেন।
[খ] [১] মহাসচিব ফোরামের সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নে নির্বাহী প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি সকল
কার্যক্রম যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদের নিকট দায়ী থাকবেন।
[২] তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত সংগঠন ও সংস্থাসমূহের সাথে ফোরামের সংযোগ রক্ষা করবেন।
[৩] সকল উপ- কমিটির কার্যক্রম তদারকী করবেন এবং উপ- কমিটির নিকট হতে কার্যনির্বাহী পরিষদের
পক্ষে কার্যক্রম প্রতিবেদন গ্রহণ করবেন।
[8] পরিষদের অনুমোদনক্রমে বার্ষিক সভায় মহাসচিব বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করবেন।
[গ] [১] কোষাধ্যক্ষ ফোরামের সকল বার্ষিক লেনদেনের হিসেব সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণ করবেন।
[২] তিনি প্রতি ছয় মাসে অর্থাৎ বছরে দুই বার কার্যনির্বাহী পরিষদে আয়-ব্যয় ও সঞ্চয়ের হিসাব প্রদান
করবেন। তিনি ব্যাংকে রক্ষিত/সঞ্চিত অর্থ যাচাই- বাছাই করে তার প্রকৃত অবস্থা নিরূপণ করবেন।
[৩] বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন ও কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন নিয়ে সাধারণ পরিষদের অনুমোদনের জন্য
বার্ষিক সভায় উহা পেশ করবেন।
[ঘ] [১] যুগা- মহাসচিববন্দ ফোরামের মহাসচিবের তত্বাবধানে থেকে মহাসচিব কর্তৃক প্রদত্ত নির্দিষ্ট শ্রেণীর
দায়িত্বাবলী পালন করে মহাসচিবকে তার যাবতীয় কার্যনির্বাহী সহায়তা প্রদান করবেন।
[২] সকল সভার কার্যবিবরণী পরিষদের সদস্যবূন্দের নিকট সভা অনুষ্ঠানের তারিখ হতে ১০ [দশ] দিনের
মধ্যে পৌছানো নিশ্চিত করবেন।
[ঙ]]১] সাংগঠনিক সচিব মহাসচিবের পরামর্শক্রমে ফোরামের যাবতীয় কার্যক্রমের পরিকল্পনা প্রণয়ন,
কার্যনির্বাহী পরিষদ হতে অনুমোদন গ্রহণ এবং দ্রুত সুষ্ঠু বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করবেন।
[২] যুগ- সাংগঠনিক সচিববৃন্দ সাংগঠনিক সচিবকে সহযোগিতার লক্ষ্যে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবেন।
[চ]১] অপরাপর বিভাগীয় সচিববৃন্দ নিজ নিজ ক্ষেত্রে গৃহীতব্য প্রকল্প ও কার্যক্রমসমূহের পরিকল্পনা গ্রহণ,
কার্যনির্বাহী পরিষদ হতে অনুমোদন গ্রহণ এবং অনুমোদিত প্রকল্প ও কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন করবেন।
[২] ফোরামের মহাসচিব কর্তৃক অর্পিত বিভাগীয় ও অন্যান্য দায়িত্বাবলী পালন করবেন।
[১২] উপদেষ্টা পরিষদ
[১ ফোরামের সকল উপদেষ্টা সদস্যের সমন্বয়ে অনুর্ধ ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে।
[২] উপদেষ্টা সদস্যবর্গ প্রতি মেয়াদের জন্য একজন সভাপতি মনোনয়ন করবেন। ফোরামের কার্যনির্বাহী
পরিষদের সভাপতি উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভা আহবান ও উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
[৩] উপদেষ্টা পরিষদ বছরে দুটি সভা করবে, তবে কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুরোধে তারও বেশী সভা
করতে পারবে। এছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদ বছরে অন্তত একটি কর্মশালা/ সেমিনার কিংবা
বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।
[৪] উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাহী পরিষদকে উপদেশ ও পরামর্শ প্রদান করবে।
[৫] কার্যনির্বাহী পরিষদ উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে।
পাতা ৫/৮
[১৩] সভাসমূহ
[ক] সাধারণ সভা
[১] কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুবিধাজনক তারিখ ও স্থানে অনুষ্ঠিত হবে।
[২] কার্যসূচী উল্লেখপূর্বক কমপক্ষে ১৫ দিন সময় দিয়ে ফোরামের মহসচিব সকল সদস্যকে সভার নোটিশ
প্রদান করবেন।
[৩] এক পঞ্চমাংশ অথবা ১০০ (যেটি সংখ্যায় কম) সদস্যের উপস্থিতিতে ফোরাম হবে।
[8] সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ সকল সদস্যের জন্য বাধ্যতামূলক বলে বিবেচিত হবে।
[খ] তলবী সাধারণ সভা
[১] কার্যনির্বাহী পরিষদের এক তৃতীয়াংশ সদস্য লিখিতভাবে মহসচিবের নিকট নোটিশ প্রদানপূর্বক যে
কোন আলোচনার জন্য পরিষদের সভা আহবান করতে পারবে। এরূপ ক্ষেত্রে আলোচনার বিষয় বা
বিষয়সমূহ নোটিশে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। এরূপ নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে মহাসচিব
সভা আহবান করতে বাধ্য থাকবেন।
[২] ন্যুনপক্ষে ১০০ জন সদস্য সাধারণ সভার তলবী অধিবেশন আহ্বানের নোটিশ মহাসচিবের মাধ্যমে
কার্যনির্বাহী পরিষদে প্রদান করতে পারবেন। উক্ত নোটিশে আলোচ্য বিষয়সমূহ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ
থাকতে হবে। এরূপ নোটিশ প্রাপ্তির পর সর্বোচ্চ তিন সপ্তাহের মধ্যে কার্যনির্বাহী পরিষদ তলবী সভা
আহবানে বাধ্য থাকবেন। অন্যথায় তলব প্রদানকারী সদস্যগণ সরাসরি সাধারণ সভা আহবান করতে
পারবেন এবং এরূপ সভায় গৃহীত যে কোন সিদ্ধান্ত আইনসিদ্ধ হবে। তবে এ সভায় সাধারণ সভার
অনুরূপ কোরাম থাকতে হবে।
[১৪] তহবিল ও ট্রাষ্ট
[ক] সাধারণ তহবিল
ফোরামের নামে সংগৃহীত চাঁদা, অনুদান এবং অন্যান্য অর্থ ফোরামের তহবিল বলে গণ্য হবে।
কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক গৃহীত ও ব্যয়কৃত সকল অর্থের প্রকৃত ও সুষ্ঠু চিত্র হিসাব বইতে সংরক্ষণ
করবেন ফোরাম কোষাধ্যক্ষ
[খ]. . বিশেষ তহবিল ও ট্রাষ্ট
কার্যনির্বাহী পরিষদ ফোরামের নামে কে কোন কল্যাণমূলক তহবিল ও ট্রাষ্ট গঠন করতে পারেন। উক্ত
তহবিল ও ট্রাষ্ট্ের জন্য অর্থ সংগ্রহ এবং নির্ধারিত খাতে ব্যয় করতে পারবেন। তহবিল ও ট্রাস্টের জন্য
অর্থ সংগ্রহ এবং নির্ধারিত খাতে ব্যয় করতে পারবেন। তহবিল ও রাষ্ট্রের কল্যাণে বিনিয়োগের উদ্দেশ্য
যে কোন অর্থ সাময়িকভাবে আইনানুমোদিত যে কোন সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করতে পারবে।
[গ] অর্থ লেনদেন
অর্থ লেনদেন বা উহার একাউন্ট পরিচালনা করতে পারবেন।
[ঘ] আয়-ব্যয় হিসাব পরিচালনা
[১] ফোরামের সকল আয়- ব্যয়ের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কোষাধ্যক্ষের। রাজধানী শহরের যে কোন
এক বা একাধিক তফসিলী ব্যাংকে ফোরাম হিসাব পরিচালিত হবে। সভাপতি, মহাসচিব ও
কোষাধ্যক্ষের মধ্যে কোষাধ্যক্ষসহ যে কোন দুই জনের যুক্ত স্বাক্ষরে টাকা উঠানো যাবে। প্রকৃত ব্যবস্থা
পরিষদের সভা নির্ধারণ করবে।
[২] ফোরামের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত নিরীক্ষা ফার্ম কর্তৃক নিরীক্ষা করাতে হবে। পরবতী বছরের জন্য মনোনীত নিরীক্ষা ফার্মের নামে মহাসচিব সাধারণ পরিষদে অনুমোদনের
জন্য পেশ করবেন।
পাতা ৬/৮
[১৫]
কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন
[ক] তিন বছর পর পর কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিন বছর অতিক্রান্ত হওয়ার ৬০
দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে পরিষদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। সভাপতির নেতৃত্বে
উপদেষ্টা পরিষদ তত্ত্বাবধায়ক নির্বাহী পরিষদ হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং ৯০ দিনের মধ্যে
কার্ধনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করবে।
[খ] ফোরামের সদস্যবৃন্দের মধ্যে তাঁর সম্মতিক্রমে সরকারের কর্মরত (অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিসহ) জ্যেষ্ঠ
কোন সচিব কিংবা সচিব না থাকলে কোন অতিরিক্ত সচিব ফোরামের সভাপতি নির্বাচিত হবেন।
কার্ষনিব্যাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ কর্তৃক এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
[গ] কার্যনির্বাহী পরিষদ পরবর্তী নির্বাচনের জন্য দায়িত্ব নির্বাহের একটি সাবজেক্ট কমিটি গঠন করবেন।
ফেরামের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি, মহাসচিব, কার্যনির্বাহী পরিসদের একজন সদস্য এবং কার্য
নির্বাহী পরিষদের বহির্ভত পরিষদ কর্তৃক মনোনীত ২ জন সদস্যের সমন্বয়ে (মোট ৫ জন) গঠিত
সভাপতি ব্যতীত অন্যান্য সকল পদে যোগ্য ব্যক্তিবর্গকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন করবেন। তিন
সদস্যের একটি মডারেটর কমিটি সাবজেক্ট কমিটির সাথে আলোচনা করে সাবজেক্ট কমিটি কর্তৃক
প্রদত্ত মনোনয়ন পরীক্ষা করবেন। ফোরামের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি, কার্নির্বাহী পরিষদের
সভাপতি এবং নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক উপদেষ্টা পরিষদের একজন মনোনীত সদস্যসহ মোট তিন
সদস্যের সমন্বয়ে মডারেটর কমিটি গঠিত হবে। মডারেটর কমিটি কর্তৃক এভাবে পরীক্ষিত কমিটি
চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ফোরামের সাধারণ সভায় উপস্থাপিত হবে। সাধারণ সভা কোন প্রকার
সংশোধনী ছাড়া এবং প্রয়োজনে সংশোধনীসহ এই কমিটি অনুমোদন করবে। সাধারণ সভা ইচ্ছা
করলে কোন পদে বা পদসমূহে বা পূর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দিতে পারে। সাধারণ সভা
কর্তৃক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলে পরবর্তী উপ ধারায় বিধৃত বিধানাবলী অনুযায়ী গোপন ব্যালটের
মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
[ঘ] কার্নির্বাহী পরিষদ এক মাস আগে একজনের চেয়ারম্যান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন
কমিশন গঠন করবে।
[ঙ] নির্বাচনের এক মাস আগে নির্বাচন কমিশন সংবাদপত্রের মাধ্যমে এবং লিখিত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাচনের
তারিখ ও তফসিল সদস্যদের অবহিত করবেন।
[চ] নির্বাচন কমিশন প্রার্থীর মনোনয়ন, জামানত ও নির্বাচন সংক্রান্ত নিয়মকানুন নির্ধারণ করবেন।
[ছ] ঘোষিত নির্বাচন তারিখের অন্তত ১০ দিন আগে মনোনয়ন আহবান করতে হবে।
[জ] নির্বাচনের ২০ দিন আগে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করবেন এবং এক কপি
ফোরামের প্রধান কার্যালয়স্থ নোটিশ বোর্ডে টাংগিয়ে দিবেন। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বছরের বার্ষিক চাঁদাসহ
হালনাগাদ সকল পাওনা কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে পরিশোধ না করলে উক্ত
সদস্যের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
[ঝ] পুর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকার কপি যে কোন সদস্য ইচ্ছা করলে সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে তালিকার
জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত অর্থ পরিশোধ করতে হবে। ভোটার তালিকা সম্পর্কে তিন
দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের নিকট আপত্তি উত্থাপিত করা না হলে উক্ত তালিকা চূড়ান্ত বলে
বিবেচিত হবে।
[ঞ] মনোয়ন পত্র গ্রহণের নির্ধারিত সময়ে ৪৮ ঘন্টা পর নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
করবেন।
[ট] নির্বাচন অনুষ্ঠানের ৫ দিন আগে নির্বাচন কমিশন চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবেন।
[ঠ] নির্বাচন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। কোন পদে ভোট সংখ্যা সমান হলে নির্বাচন কমিশন
চেয়ারম্যান প্রকাশ্য লাটারীর মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন।
পাতা ৭/৮
[ড ]কোন পদের জন্য একাধিক প্রার্থী না থাকলে নির্বাচন কমিশন সে প্রার্থী বা প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্ন্দ্রিতায়
নির্বাচিত ঘোষণা করবেন।
[ঢ] নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষনার ১৫ দিনের মধ্যে বিদায়ী কার্যনির্বাহী পরিষদ নব নির্বাচিত
পরিষদের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে দায়-দায়িত্ব হস্তান্তর করবে। অন্যথায় নির্ধারিত তারিখ উত্তীর্ণ হবার
পরবর্তী কার্যদিবসে নির্বাচিত নতুন কমিটি আপনা আপনি কার্যভার গ্রহণ করেছে মর্মে বিবেচিত হবে।
[ণ] কার্যনির্বাহী পরিষদ যখনই দায়িতৃভার গ্রহণ করুন না কেন তাদের মেয়াদকাল উক্ত বছরের ১লা
জানুয়ারী হতে কার্যকর হবে।
[১৬] গঠনতন্ত্রসংশোধন
গঠনতন্ত্র যে কোন ধারা, উপ- ধারা পরিবর্তন, সংশোধন অথবা সংযোজনের এখতিয়ার শুধু সাধারণ
পরিষদের বহাল থাকবে।
[ক] এই ধরণের সংশোধীন আনয়নের জন্য সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের পনের দিন আগে মহাসচিবের
নিকট লিখিতভাবে প্রয়োজনীয়তাসহ সংশোধনীর প্রস্তাব দিতে হবে।
[খ] সংশোধনী প্রস্তাব আনয়নের পর মহাসচিব সে সকল প্রস্তাব সাধারণ সভায় পেশ করবেন।
সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশের অনুমোদনের মাধ্যমে যে কোন সংশোধনী
প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে গৃহীত হবে।
[গ] এই গঠনতন্ত্রে কোন কিছু অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি, এমন বিষয়ে কোন রকম গঠনতান্ত্রিক মত বিরোধ
দেখা দিলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ফোরামের মহাসচিব এবং উপদেষ্টা
পরিষদের একজন সদস্য যিনি উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি কর্তৃক মনোনীত হবেন, সমন্বয়ে
গঠিত কমিটি যে ব্যাখ্যা প্রদান করবে, তাই গঠনতান্ত্রিক চূড়ান্ত ব্যাখ্যা বলে গৃহীত হবে।
[১৭] বিলুপ্তি এই ফোরামের বিলুপ্তি কিংবা নাম পরিবর্তনের ক্ষমতা একমাত্র সাধারণ পরিষদই সংরক্ষণ করে।
পাতা ৮/৮